পাবনায় আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ১০ জন আহত
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী মোল্লা নাজমুল আলম (৪৫), মানিক মন্ডল (৪৮), অর্জন হালদার (২৬) ও কাজী নজরুল ইসলাম এবং বিএনপি কর্মী মঞ্জু (৩৪) ও নান্নুকে (৫৫) বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেড়ার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সভা করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পাবনা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ওই স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সভাস্থলের পাশে গিয়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। সেখান থেকে সরে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাসুমদিয়া বাজারে গিয়ে অবস্থান নেয়।
সভা শেষ করে যাওয়ার পথে মাসুমদিয়া বাজার অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপরেই দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার মানুষদের মধ্যে উত্তেজনা থাকায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পাবনা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের মোটরসাইকেল বহরে হামলা করে এবং ত্রিমোহনী বাজারে বিএনপি সমর্থকদের পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করে। পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শাসন না করে উল্টো বিএনপির ১১জন নেতাকর্মীকে আটক করে।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত পাবনা-২ আসনের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিবের প্রকাশ্য মদদে এই হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়।’