ঘুমন্ত বাবাকে খুন, বাধা দিলে মা-ভাইকে পিটুনি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় আবদুল হাই (৬০) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে নিহতের ছেলে নকিব হাসান হৃদয়কে (১৮)। রোববার সকালে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নকিব মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজনসহ নিহতের পরিবার। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নকিবের মা রাজিয়া সুলতানা (৫০) ও বড় ভাই হাসিবুর রহমান নিলয় (২০)।
নিহতের শ্যালক আবদুল আলিম জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে এক ঘরে বাবা-মা ও অন্য ঘরে দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রোববার সকাল পৌনে ৬টায় হৃদয় ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত বাবাকে আঘাত করতে থাকেন এবং মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় তার মা টের পেয়ে বাধা দিলে মাকেও রড দিয়ে আঘাত শুরু করেন নকিব। পরে মায়ের চিৎকারে বড় ভাই নিলয় এগিয়ে এলে তিনিও রডের আঘাতে আহত হন।
পরে আবদুল হাইকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চার-পাঁচ বছর ধরে নকিব হাসান হৃদয় মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও জানান আবদুল আলিম।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লুবনা খানম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই আবদুল হাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর মিয়া। তবে, নিহতকে পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি জানান, নকিবকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আটক নকিব কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আগামী বছরে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। আর নিহত আবদুল হাই স্থানীয় সোমবাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন।