খালেদা জিয়ার ভোট নিয়ে শুনানি চলছে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা হাইকোর্টে রিটের শুনানি আজ শুরু হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাইকোর্টের সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের দ্বৈত বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। টানা সোয়া দুই ঘণ্টা শুনানির পর মুলতবি হয়। দুপুর ২টার পর আবার শুনানি শুরু হবে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কথা বলেন।
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়। দুটি মামলায় তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
এরপর গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেন। গত শনিবার শুনানির সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তাঁরা তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন।
এর পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে শেষ আশ্রয়স্থল হাইকোর্টে আসেন। গতকাল রোববার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। দ্বৈত আদেশের এ রায়ের কপি মোট দুই পৃষ্ঠা।
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হন এবং পরে মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তাহলে খালেদা জিয়া কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না?
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংবিধানের ৬৬ ধারা উদ্ধৃত করে আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল ৯ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। আজ ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।