হাওলাদার, নাছির ও হেলালের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টির নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি তরিক উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই তিন প্রার্থীর দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।
রুহুল আমিন হাওলাদারের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদারের রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন এ বিষয়ে শুনানির জন্য তাদের অন্য কোনো বেঞ্চ যেতে হবে।
একই বক্তব্য দিয়েছেন ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন একই বেঞ্চ। অপরদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির (চট্টগ্রাম-৫) ও নাছিরের ছেলে মীর হেলালের (চট্টগ্রাম-৫) করা রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন বিচারপতি তরিক উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
রুহুল আমিন হাওলাদার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি ইসিতে আপিল করেন। ইসিতে শুনানির পর তাঁর আপিল নামঞ্জুর করে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। ইসির এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
গতকাল সোমবার হাওলাদারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাছির ও তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপি এবং নানা ত্রুটির কারণে তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এরপর তাঁরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। আপিলেও তাদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষিত হয়। পরে তাঁরা হাইকোর্টে রিট করেন।