মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলায় বিব্রত সিইসি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিব্রত ও মর্মাহত বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিচারিক হাকিমদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের আজ ছিল শেষ দিন। সকালে তাঁদের উদ্দেশে সিইসি এসব কথা বলেন।
গতকাল নিজের নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও সদরে যান মির্জা ফখরুল। উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাটে পৌঁছালে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ বিষয়েই আজ সিইসি এসব কথা বলেন।
তবে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কে এম নুরুল হুদা কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালীতে সংঘর্ষে এক যুবকের নিহতের ঘটনায়ও কমিশন বিব্রত হয়েছে। দুটো ঘটনাই আমাদের অত্যন্ত দুঃখ দিয়েছে, ব্যথা দিয়েছে।’
সিইসি আরো বলেন, ‘একটা মানুষের জীবন সমগ্র নির্বাচনের চেয়ে মূল্যবান। সারা দেশে ৩০০টি আসনে যে নির্বাচন হবে, সেটার যে মূল্য একজন মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী, প্রার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবাইকে ধৈর্যশীল আচরণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এ সময় নুরুল হুদা এসব ঘটনা প্রতিরোধে বিচারিক হাকিমদের সচেষ্ট থাকার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে, নির্বাচন সহিংসতার জায়গা নয়। নির্বাচন মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জায়গা।’
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তো বটেই, সব দিক দিয়ে আলাদা নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগের কোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। প্রতিটা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ছয়জন প্রার্থী, সারা দেশে মোট এক হাজার ৮০০ বেশি প্রার্থী মাঠে থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’
এ ছাড়া সিইসি জানান, কমিশন নির্বাচনের আগে সব ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল নির্বাচন উপহার দিতে এসব কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আজকের ব্রিফিংয়ে আরো বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।