নেত্রকোনায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার আমতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সফিউল্লাহ সফি, ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক মোগলে আজম, সহসভাপতি মো. শাহজাহান, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. বাবুল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন মিয়া, যুবদলের সদস্য মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
অন্যদিকে কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোবারক হোসেন কামাল, উপজেলার রংছাতী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলী, উপজেলা ছাত্রদল সদস্য লোকমান মিয়াকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেলার পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গোহালাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ আল মামুন শহীদকে গতকাল বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে পূর্বধলা থানা পুলিশ। পুলিশ তাঁদেরকে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. মো. আনোয়ারুল হক বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা যাতে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করতে না পারে সে জন্য পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিনা কারণে কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হচ্ছে না।
বিএনপি প্রার্থীর মাইক ভাঙচুর
এদিকে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের নির্বাচনী প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা সদর উপজেলার মুক্তির বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ারুল হক জানান, আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মুক্তির বাজারে ধানের শীষের প্রচার চালানোর সময় প্রচার মাইক ভাঙচুর করে। এ ছাড়াও অহেতুক দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।