সাতক্ষীরায় বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা, আহত ৭
সাতক্ষীরা-১ (তালা ও কলারোয়া) আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলা সদরে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন। এ ছাড়া এ ঘটনায় দুজন সাংবাদিকসহ পথচারী আহত হয়েছেন।
জানা যায়, সদরে কর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এ সময় পেছন থেকে লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে হেলমেটধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী।
এ সময় প্রবীণ নেতা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আহতদের কলারোয়া ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাবিব দাবি করেছেন, কলারোয়া থানার কাছে এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ এ হামলা চালিয়েছে। এমনকি ওই সময় কাছেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান। এ হামলার জন্য ফিরোজ আহমেদকেই দায়ী করছেন হাবিব।
সাতক্ষীরা ১ (তালা ও কলারোয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছবি : এনটিভি
এদিকে, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান, তিনি এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর শোনেননি।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, ‘শুনেছি তারা নিজেরা মারামারি করেছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’
এর পরে ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তাঁর বাড়ির আঙিনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। প্রচার মাইক ভেঙেচুরে দেওয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেট টানাতে দিচ্ছে না। লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
ওই আসনে ‘নৌকা’ প্রতীকে লড়ছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।