বামদের প্রচারে বাধা, ইসিকে চিঠি
নির্বাচনী প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আজ শনিবার এসব অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) একটি চিঠি পাঠায় জোটটি।
চিঠিটি নিয়ে ইসিতে যান বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সারা দেশের ১০টি সংসদীয় আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে ঢাকা-৬, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৭, পটুয়াখালী-৪, কুষ্টিয়া-৩, সাতক্ষীরা-১, জামালপুর-২ ও দিনাজপুর-৪ আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, সরকার দলের কর্মীদের হামলা ও পুলিশি বাধার বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানায় এই জোট।
অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-১২ আসনে জোটের প্রার্থী জোনায়েদ সাকির নির্বাচনী প্রচারে গত ১৩ ডিসেম্বর ফার্মগেট এলাকায় হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ওই আসনের মগবাজার, ইস্কাটন ও মণিপুর এলাকায় মই মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয় ও প্রচারে বাধা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মই মার্কার প্রার্থী শফিউর রহমান শফির প্রচারে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন শাহ আলম। শাহ আলম বলেন, ‘আগে থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলেও পুলিশ অন্যায়ভাবে প্রচারণায় বাধা দেয়।’
এদিকে, সাতক্ষীরা-১ আসনে জোটের প্রার্থী আজিজুর রহমানের পথসভায় হামলা, কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার স্থানীয় খলিশখালী বাজারে কাস্তে মার্কার সমর্থকদের ওপর সরকার দলের কয়েকজন কর্মী হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন জোটের নেতারা। তাঁরা হামলাকারীদের নামও উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া বাকি আসনগুলোতেও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মীদের ওপর হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইকের তার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারণায় বাধা ও পুলিশি হয়রানিসহ বেশ কিছু বিষয়ে চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।
চিঠি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘আমরা অনেক সময় অপেক্ষায় থেকেও কারো সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। দেখা না করতে পেরে অবশেষে ডেসপ্যাচে চিঠিটি জমা দিয়ে এসেছি।’