নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাসায় আগুনে একই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফতুল্লার হকবাজার এলাকার একটি বাসায় ওই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন—শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী অর্চনা (৩২), তাঁদের সন্তান অনামিকা (১৫) ও অর্পিত (৯), শ্রীনাথের মা ছায়া রানী (৬০), বোন সুমিত্রা (২৬), ভাতিজা প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০) এবং বোনের স্বামী নারায়ণ চন্দ্র (৩৫)।

দগ্ধ শ্রীনাথ চন্দ্র জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মোবাইলের অ্যালার্ম শুনে তিনি ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর বাতির সুইচ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসার ভেতর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই রুমে এবং পাশের রুমে ঘুমিয়ে থাকা নয়জন দগ্ধ হন।

পরে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, তাঁদের শরীরে ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবাইকেই বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, শিবু মার্কেট এলাকার হকবাজারে চারতলা ভবনের তিনতলায় গ্যাসের চুলার আগুনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিবারের সদস্যরা পোশাক কারখানার শ্রমিক। ওই বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকেন। ভোরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালালে সেই আগুন ঘরে ছড়িয়ে যায়। এতে ঘরের সবাই দগ্ধ হন।