গোপালগঞ্জে বাস-মাহেন্দ্রর সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২
গোপালগঞ্জে বাস ও মাহেন্দ্র অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার হরিদাসপুর নামক স্থানে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশাহী গ্রামের আল আমিনের মেয়ে মরিয়ম (৮), ছেলে নয়ন শেখ (১১), আল-আমিনের শাশুড়ি রেনু রেগম (৪৫) ও শ্যালিকা মেঘলা (৯), মাহেন্দ্রচালক একই উপজেলার সুকতাইল গ্রামের রাজিব মোল্লা (২০), হরিদাসপুর গ্রামের আক্কাস মোল্লার ছেলে সাদ্দাম মোল্লা (২৫), ডুমদিয়া গ্রামের ঝিলু গাজীর ছেলে মোর্শেদ গাজী (৪০), তেবাড়িয়া গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে জানে আলম শেখ (৩৭) ও চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের ছলেমান সিকদারের ছেলে জগলু সিকদারের (৩৫) নাম জানা গেছে। অন্য তিনজনের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুরে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও এর যাত্রীদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি : এনটিভি
এ দুর্ঘটনায় বাস, মাহেন্দ্রযাত্রী ও পথচারী নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী মুন্সি মোহাম্মদ কালু মেম্বার জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার হরিদাসপুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী গোল্ডেনলাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাহেন্দ্র থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্রটি বাসের নিচে চলে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে মাহেন্দ্র ও বাস রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু, নারীসহ ১২ জন মারা যায়। আহত হয় আরো ২০ জন। পুলিশ, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজন হারানো আল-আমিন জানান, তাঁর দুই ছেলেমেয়ে পাশেই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শঙ্করদি গ্রামে ওদের মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। ওদের নিয়ে আজ তাঁর শাশুড়ি মাহেন্দ্রতে করে বাড়ি আসছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনা তাঁর সব শেষ করে দিল। এখন তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলে ছাড়া আর কোনো সন্তান নেই।