জামিন পেয়েও মুক্তি পেলেন না ভৈরব বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী
পুলিশের করা মামলায় কারাগারে থাকা কিশোরগঞ্জের ভৈরব বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ আদালতে থাকা বিএনপির ওই ১২ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখালে কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ফের কারাগারে পাঠায়।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভৈরব উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরুজ্জামান, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল-চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ আফজাল, পৌর যুবদলের সভাপতি হানিফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীদুল হক ইমন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রাজু আহমেদ একটি মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এর আগে ভৈরব বিএনপির পাঁচকর্মী আলমগীর মেম্বার, খালেক মিয়া, নূরুজ্জামান খাঁন, ফারুক মিয়া ও মুর্শিদ মিয়া পুলিশের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।
গত বৃহস্পতিবার ওই ১২ নেতা-কর্মী হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। জামিনের আদেশ নিয়ে বিএনপির নেতারা শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ কারাগারে গেলে জানানো হয়, তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট করা হয়েছে।
কারাগার কর্তৃপক্ষ বিএনপির নেতাদের জানায়, ১২ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও ভৈরব থানার মামলা নম্বর ২৩, তারিখ ১২/৮/১৮ মামলায় পুলিশ তাদের শ্যোন অ্যারেস্ট করায় তাদেরকে কারাগারে আটক থাকতে হবে।
ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পরাজিত করতে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করছে। আমরা উচ্চ আদালত থেকে বার বার জামিন নিয়েও জেল-জুলুম থেকে বাঁচতে পারছি না।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. শরীফুল আলম জানান, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েও ১২ জন নেতা-কর্মী কারাগার থেকে বের হতে পারলেন না। আমাদের প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করতেই পুলিশ এমন আচরণ করছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।