‘২৭ ডিসেম্বর জনসভার অধিকার রাখে ঐক্যফ্রন্ট’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘২৭ তারিখ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার করার জন্য অনুমতি চাইলেও ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ) তা দেয়নি। পুলিশ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অনুযায়ী আমরা ২৭ ডিসেম্বর জনসভা করার অধিকার রাখি।’
আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আরপিও অনুযায়ী সভা করার জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশ কমিশনারের কাছে দরখাস্ত দিতে হয়। আমরা ২৪ ঘণ্টারও বহু আগে গত পরশু (২১ ডিসেম্বর) আবেদন জানিয়েছি। সেই ক্ষেত্রে এত আগে আবেদন করার পরেও গতকাল রাতে (২২ ডিসেম্বর) পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২৪ ডিসেম্বরের পরে ঢাকা শহরে আর কোন জনসভা করা যাবে না। এটা প্রচলিত সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ও আইনি বিধানের পরিপন্থী। আইন অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত আমরা প্রচার প্রচারণা করতে পারব। কিন্তু সভার বিষয়ে আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাইলে ২৪ ডিসেম্বর জনসভা করতে পারতাম। কিন্তু একইদিনে দুটি জনসভা হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে আশঙ্কা করে আমরা আগেই ২৭ তারিখে জনসভা করবে বলে ঠিক করে রেখেছি। কিন্তু এতে বাধা দেওয়া আমাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা দেওয়ার শামিল। আমরা অনুরোধ করব এই ধরনের কাযর্ক্রমের মাধ্যমে আমাদের অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত করা না হয়।’
বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনিও বলেছেন, ২৭ তারিখে সমাবেশ করতে কোনো আইনি বাধা নেই। আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।’
এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থী ও কর্মীদের সরকারি দলের সদস্যরা হামলা করে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের অস্ত্র উচিয়ে ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়তে ও বিভিন্ন মামলার আসামি করার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এই বিষয়টিও সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ধরনের কর্মকর্তারা গোটা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাদের দায়িত্ব কর্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রজাতন্ত্রের এই কর্মকর্তারা দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছে।’
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং আস্থার প্রতীক। বিশ্বের বহু দেশে শান্তি স্থাপনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সুনাম অর্জন করেছে। দেশের নির্বাচনেও তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।’