কুলিয়ারচরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ১০ নেতা-কর্মী আহত
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মো. শরীফুল আলমসহ কমপক্ষে ১০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শফিকুল ইসলাম, নাজমুলসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে। আজ সোমবার কুলিয়ারচর পৌর এলাকার গাইলকাটা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গুলিতে আহত বিএনপি ও ছাত্রদলকর্মী তপু, ফেরদৌস, রুবেল, কাশেম ও ইব্রাহীমকে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির অভিযোগ, তাদের দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম আজ বিকেলে নিজবাড়ি কুলিয়ারচর পৌর এলাকার বেতিয়ারকান্দি থেকে গণসংযোগে বের হন। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে গাইলকাটা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় পুলিশের একটি টিম পেছন দিক থেকে নেতাকর্মীদের ওপর শটগানের গুলি ছুড়তে থাকে।
এতে শরীফুল আলমসহ কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে শরীফুল আলমকে নিয়ে চলে আসার সময় পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে পুলিশের দাবি, পুলিশ নয় বরং বিএনপি নেতাকর্মীরাই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে প্রথমে। এতে এএসআই শফিকুল ইসলাম, নাজমুলসহ আরো চার পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করেছেন কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা।
এ সময় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথাও স্বীকার করেন ওসি।
এদিকে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম তাৎক্ষণিক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর উসমানপুর চৌমুরী বাজারে পথসভায় পুলিশের হামলায় আমি ও আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হই। কিছুটা সুস্থ হয়ে দেড় সপ্তাহ পর আজ নেতাকর্মীদের নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আমরা বাড়ি ফেরার পথে পেছন থেকে পুলিশ অতর্কিতে গুলি চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল দাবি করে বলেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পুলিশ বারবার তাঁর ওপর হামলা করছে। এ সময় তিনি তিনি আরো বলেন, পুলিশ যত হামলাই করুক, জীবন বাজি রেখেই নির্বাচনের মাঠে থাকব ৩০ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগ পুলিশ দিয়ে শরীফুল আলম এবং তাঁর নেতাকর্মীদের স্তব্ধ করতে পারবে না, ইনশা আল্লাহ।