দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে হাবিবকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

পাবনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের আলহাজ মোড়ে গণসংযোগে নেমে হামলার শিকার হন হাবিব। তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় আরো ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছের বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

বিএনপির দাবি, হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী।

প্রার্থী হাবিবের ভাই আব্দুস সাত্তার বাচ্চু বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ সবার অনুমতি সাপেক্ষে এই গণসংযোগ শুরু করেছিলাম। অথচ হঠাৎ করে সশস্ত্র অবস্থায় ৪০-৫০টি মোটরসাইকেলযোগে এসে তারা এ হামলা চালায়।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাবিব এ ঘটনার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করে বলেন, ‘গণসংযোগ ও পথসভার জন্য আয়োজিত জমায়েতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।’

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে। নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে হাবিব মিথ্যাচার করছে।’

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসমা খানম বলেন, ‘হাবিবের কোমরের নিচে ও উরুতে মারাত্মক জখম হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।’

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদীর আলহাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও তাঁর নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় হঠাৎ করে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা হাবিবুর রহমান হাবিবকে কুপিয়ে জখম করে।

এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব আমাদের অনুমতি সাপেক্ষে এই গণসংযোগ শুরু করেন। তারপরও যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত।’

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে বিপুল, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।