ভৈরবে ২১ শতাংশ তরুণ ভাবাচ্ছে প্রার্থীদের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দোরগোড়ায়। এরই মধ্যে ভোটাররা তাদের পছন্দের দলের ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন। তবে প্রত্যেক নির্বাচনের মৌসুমেই একটা বড় অংশ থাকে নতুন প্রজন্মের ভোটার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৬ আসনটি। এ আসনে এবার ভোটারের সংখ্যা তিন লাখ ৩২ হাজার ৬৫১। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৩১ ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৮ হাজার ৮২০। তরুণ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার, যা শতকরা ২১ শতাংশেরও বেশি।
পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, এবারের নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের ভোটাররা নির্বাচনী ফলাফলে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবেন। এই তরুণ ভোটাররা যেদিকে ঝুঁকবে, সেদিকেই বিজয় নিশ্চিত হবে। আর এই বিষয়টি অনুধাবণ করেই বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তরুণ ভোটারদের প্রাধান্য দিয়ে করছেন নির্বাচনী ক্যাম্পিংও।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই তরুণ ভোটারদের বড় একটি অংশ মুঠোফোন ও ফেসবুক ব্যবহারকারী। এ জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা খুদে বার্তা ও ভিডিওচিত্র বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে ভোট চাইছেন।
কিন্তু যাদের নিয়ে এত ভাবনা, সেই নতুন প্রজন্মের ভোটাররা কী ভাবছেন তাঁদের ভোটাধিকার নিয়ে? এ বিষয়ে কথা হয় দেশের হাজী আসমত কলেজ ও জেড রহমান বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাহমানিয়া আসিফ, নাইম আহমেদ, ফাহাদ, শামীম রহমান জয় ও শিহাব মেরাজের সঙ্গে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান সময়ের এই সংঘাতময় রাজনীতি তাঁরা কিছুতেই পছন্দ করছেন না। একটি স্থিতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাঁরা চান। আর চান মাদকমুক্ত সমাজ। এসব পূরণ করতে যিনি বা যাঁরা কাজ করতে পারবেন, তাঁকেই ভোট দেবেন এই শিক্ষার্থীরা।
আবার অন্য বিষয়ে মতামত দিলেন সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া এবং রফিকুল ইসলাম মহিলা অনার্স কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা ও তাবাসসুম শশী। তাঁরা মনে করেন, দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরিতে যাঁরা ভূমিকা রাখতে পারবেন, তাঁদেরকেই ভোট দিতে চান তাঁরা।
নতুন প্রজন্মের তরুণ ভোটারদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন জানান, এই নতুন প্রজন্ম দেশকে অসম্ভব ভালোবাসে এবং তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আদর্শ নাগরিক। তাই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে রায় দেবে। তাঁরা কখনো ভুল করবেন না বলেও তাঁর ধারণা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শরীফুল আলম জানান, বর্তমান প্রজন্ম স্বাধীনচেতা ও মুক্তমনের অধিকারী। তাঁরা অন্যের মতামত মেনে নেওয়া ও মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করেন। তাই বর্তমান সময়ের এই নিজগৃহে পরাধীনতার মতো পরিবেশ থেকে তারা মুক্তি চায়। এ জন্যেই আগামী নির্বাচনে এই তরুণ প্রজন্ম তাঁকেই বিজয়ী করবে বলে আশাবাদী শরীফুল আলম।