আমার জীবননাশের চেষ্টা করতে পারে : মির্জা আব্বাস
ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমার জীবননাশের চেষ্টা করতে পারে। এর আগেও ২০১০ সালে র্যাবের পোশাক পরে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমি আশঙ্কা করছি, সরকার যেকোনো সময় আমার ওপর একটা আক্রমণ করতে পারে।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে আজ পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকতে পারিনি। আমরা আগেই প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার কারণে। আগে সন্ত্রাসী হামলা হতো দলীয় ও সাদা পোশাকে। আর এখন হচ্ছে সরকারি পোশাকে। আগেই আমার কয়েক হাজার নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। আমার কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। তাই নতুন করে পোলিং এজেন্ট ঠিক করে তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। কিন্তু কেন যেন পুলিশ এসে আমার নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গেল।’
আব্বাস বলেন, ‘আমি, আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই জালেম, নমরুদ কাফের সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করুক। আর যেন এরা দেশের জনগণকে নির্যাতন করতে না পারে।’
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘আপনারা যখন এসেছেন, দেখেছেন কিভাবে আমার বাসা ঘেরাও করে রেখেছে। কিভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজ সকালেও যখন দৈনন্দিন কাজ শুরু করি, তখন খবর শুনলাম আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছে। এমনকি তারা আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করেছে তাদের বাড়ি থেকে কি আমার বাড়িতে ঢোকা যায় কিনা। এভাবে রেকি করার মানে কি আমার মাথায় আসে না। এর আগেও তারা আমার বাসায় হামলা করার আগে এভাবে রেকি করেছে। আমি বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে যখন বের হই, তখন দেখি আমার বাড়ির উত্তর দিকে পোশাকধারী পুলিশ, দক্ষিণ দিকে সাদা পোশাকে পুলিশ। বাড়ির চারপাশে এভাবে সরকারের পেটুয়া বাহিনী ঘিরে রেখেছে।’
আজ শনিবার রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাড়ির সামনে বিজিবি সদস্যদের দেখে কথা বলেন মির্জা আব্বাস। ছবি : এনটিভি
এ সময় জনগণের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। আপনারা ভোট দিতে যাবেন, যাকে আপনাদের পছন্দ তাঁকেই ভোট দিবেন। তারপরও আপনারা ভোট দিতে যাবেন।’
এরপর ঢাকা-৯ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমি বিকেলে ওষুধ কিনতে যাই, তখন আমার গাড়ি আটকে দেয় অস্ত্র নিয়ে। আমি গাড়ির সামনে বসা ছিলাম দেখে, তারা পরে সবাইকে যেতে দেয়।’