শ্যামনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগ বিকল্পধারার প্রার্থীর
সাতক্ষীরা-৪ আসনের শ্যামনগর উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত দুদিনে সেখানে ঘরবাড়ি ও সিনেমা হলে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর এবং ঘরবাড়ি ও দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
এ আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজা আজ মঙ্গলবার বিকেলে শ্যামনগন উপজেলায় তাঁর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
এসব ঘটনায় বিজয়ী মহাজোট প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করে এইচ এম গোলাম রেজা বলেন, নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীর কৌশলগত বিজয় ও আমার পরাজয় মেনে নিয়েছি।
ভোটের দিন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি, এমনকি কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে গোলাম রেজা বলেন, একতরফা এবং কৌশলী নির্বাচন হয়েছে। জনগণ এই নির্বাচনে সন্তুষ্ট নয়। তারপরও আমরা ফল মেনে নিয়েছি। তবে নির্বাচনের পর যা ঘটছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল সোমবার রাতে তাঁর বাড়ির পাশের সিনেমা হলে প্রতিপক্ষ আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করে এইচ এম গোলাম রেজা বলেন, আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফেজ আবদুর রশীদের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জে, সোনার মোড়ে ও হরিনগর গ্যারেজে অনেক দোকানপাটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে মহাজোট প্রার্থীর লোকজন।
গোলাম রেজা জানান, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে পুলিশ এসব তালা খুলে দিতে শুরু করেছে। তবে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এখনো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
সাবেক সাংসদ গোলাম রেজা বলেন, এসব বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট হবেন বলে তাঁকে আশস্ত করেছেন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপ্তেষ রায় বলেন, সিনেমা হলে ও হাফেজ রশীদের বাড়ি আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে আমরা রাতেই যাই। তার আগেই আগুন নিভে যায়।
এসআই বলেন, বিকল্পধারার সমর্থকরা নানা কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তাদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে খোলা রাখতে এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।