লক্ষ্মীপুরে পুলিশের ওপর যুবলীগের হামলায় ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যুবলীগের হামলায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকেলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঘটনার সময় আটক ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার, সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা আকিব খান, রিয়াজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, ইকবাল হোসেন, সাইফ উদ্দিন আফলু, আলী আজগর ও ছাত্রলীগ নেতা আশিক আহমেদ।
অন্য আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আল-আমিন ভূঁইয়া, লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক তফসির আহমদ, যুবলীগ নেতা আরজু, ইসমাইল, রাকিব পাটোয়ারী, রকি, মান্নান, রিয়াজ, আরজু, ছলিম পাটোয়ারী, মোল্লা ফারুক, আলম, গিয়াস উদ্দিন রুবেল ও মিজি আলাউদ্দিন। এতে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেন নামের এক চিকিৎসাধীন যুবকের ওপর হামলার চেষ্টা করেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপরও হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন এসআই আবদুল আলিম।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ফজলুর সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে দুজনকেই আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা চিকিৎসাধীন দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপরও তারা হামলা করে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আহতরা হলেন সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবল নয়ন পাল, মেহেদী হাসান ও সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমনসহ ১০ জন।