স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে!
গাজীপুরে পোশাককর্মী এক নারীকে তাঁর স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম আফরোজা খাতুন (২৫)। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার জিকাবাড়ি এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
নিহত আফরোজার মামা একামত হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর ভাওরাইদ উত্তরপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে স্বপরিবারে থাকেন বিল্লাল হোসেন। সাত-আট বছর আগে বিল্লালের মেয়ে আফরোজার সঙ্গে জামালপুরের সানন্দবাড়ির মন্ডলপাড়া এলাকার শাহজাহান মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
সন্তানকে নিয়ে শাহজাহান মিয়া ও আফরোজা স্থানীয় মুকুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আফরোজা গাজীপুরের সালনা এলাকার শ্যামলী পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তাঁর স্বামী শাহজাহান জোলারপাড় এলাকার একটি স্টিল মিলে চাকরি করেন। আফরোজা শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কারখানা থেকে বাসায় ফেরেন। রাতে আফরোজার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তাদের মেয়ে বাসায় ছিল না।
এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহজাহানকে বাসা সংলগ্ন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে আফরোজার লাশ ফেলতে দেখেন নিহতের মামাতো ভাই মুকুল ও মুকুলের শ্যালক খোকন। তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জুর হোসেনকে জানান। পরে স্থানীয়রা ওই ট্যাংক থেকে আফরোজার লাশ উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার ভোরে সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
জানা যায়, আফরোজা সৌদি আরবে দুই বছর চাকরি শেষে তিন-চার মাস আগে দেশে ফিরে পোশাক কারখানায় চাকরি নেন।
গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ জানান, নিহতের গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত রয়েছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, বিদেশ ফেরত আফরোজা সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়েছে এমন সন্দেহে কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এর জেরে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যার পর থেকে নিহতের স্বামী শাহজাহান মিয়া পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।