জগলুল হায়দারকে মন্ত্রী দেখতে চায় সাতক্ষীরার নাগরিক সমাজ
বছরের ১২ মাসই দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিতে থাকা সাতক্ষীরার শ্যামনগর-কালীগঞ্জ আসনের (সাতক্ষীরা-৪) সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। আজ শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইলা ও সিডর উপদ্রুত এই এলাকার জলোচ্ছ্বাসরোধে বেড়িবাঁধ ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে এস এম জগলুল হায়দার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি মন্ত্রিত্ব পেলে বাঘ হরিণ আর নদী সাগর সুন্দরবন ঘেরা সাত লাখেরও বেশি মানুষ একটি আলোকিত জনপদ খুঁজে পাবে। প্রাকৃতিক সম্পদের অপার সম্ভাবনার এই এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার সাহস পাবে। সব ধরনের সাদা মাছ ছাড়াও চিংড়ি ভাণ্ডার, শুঁটকি মাছের আকর হিসেবে খ্যাত এ এলাকা থেকে মৎস্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন আরো গতি লাভ করবে। একই সঙ্গে এখানে গড়ে উঠতে পারবে একটি ইপিজেড।
পর্যটন সম্ভাবনার এই এলাকায় রয়েছে ইকো ট্যুরিজম সেন্টার আকাশনীলা, শাহী মসজিদ, রাজা প্রতাপাদিত্যর স্মৃতি ধারক যশোরেশ্বরী কালিমন্দির, হাম্মামখানা, জমিদার হরিচরণের বাড়ি এবং সর্বোপরি বঙ্গোপসাগরের ঢেউ খেলানো বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য ও দেশসেরা মান্দারবাড়িয়া চর। এ ছাড়া শ্যামনগরের গোপালপুর পিকনিক কর্নার, গোপালপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান ও শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ দৃষ্টি কেড়ে নেয়। দুই বারের সংসদ সদস্য এস এস জগলুল হায়দারকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হলে পর্যটনের এই জনপদ বিশ্ব সভায় আরো পরিচিতি লাভ করবে।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস, এপিপি অ্যাডভোকেট জি এম ওকালত আলী, অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জিএম গোলাম মোস্তফা, নাসিম হায়দার রিপন, বুলবুল আহমেদ, এপিপি জি এম আবদুল্লাহ আল মামুন, জোসনা দত্ত, কালিদাস রায় , আবু সাঈদ প্রমুখ।
তাঁরা বলেন, এস এম জগলুল হায়দার ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩৮৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে। এরই মধ্যে তিনি জনবন্ধু হিসেবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এমন একজন ব্যক্তিকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলে দেশের দক্ষিণ জনপদ দুর্যোগ ঠেলে বাঘের গর্জন ছেড়ে মাথা উঁচু করে টিকে থাকতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাঁরা।