‘গণপিটুনিতে’ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
চট্টগ্রামে ‘গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে’ সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মহিউদ্দিন সোহেল। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির সমর্থিত যুবলীগের রাজনীতি করতেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ।
ঘটনার পরে নিহত সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। চাঁদাবাজির ক্ষোভ থেকেই তিনি গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।
তবে মহিউদ্দিন সোহেল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকিব। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপসম্পাদক, তরুণ আওয়ামী লীগনেতা মহিউদ্দিন সোহেল ভাই চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন..., তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি.....।’
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মহিউদ্দিন সোহেল। ছবি : এনটিভি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহিউদ্দিন সোহেলসহ তাঁর কয়েকজন সহযোগী এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শতাধিক লোকজন সোহেলের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় সোহেল ও তাঁর সহযোগীরা গণপিটুনির শিকার হন। উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে আহত হন সোহেল। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আহমদ করিম বলেন, ‘শেয়াল যেভাবে মুরগি ধরার জন্য টার্গেট করে, মহিউদ্দিন সোহেল সেভাবে মানুষকে টার্গেট করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় চাঁদাবাজি করতেন। এলাকার বিভিন্ন মানুষের জায়গা দখল করে তিনি ঘর তৈরি করেছেন। সেগুলো থেকে তিনি ভাড়া আদায় করতেন।’
ডবরমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত করে মহিউদ্দিন সোহেলকে খুন করা হয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনার পরে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের সবকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।