বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর কে কী বললেন
নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা বলা হয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা ও বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রীরা। আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে শপথ নেওয়ার পর তাঁরা এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় যাওয়া এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এ কাজটিই আমরা প্রথমেও করব, মাঝখানেও করব, শেষেও করব।’
নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ট্যাক্স রেট কমাতে হবে। এটাকে বাস্তবমুখী করতে হবে। সবাইকে ট্যাক্স নেটের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যাদেরই ট্যাক্স দেওয়ার দরকার সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসব।’
শপথ নেওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (বাঁ থেকে)। ছবি : এনটিভি
প্রথমবার সাংসদ হয়েই গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে যে সকল জায়গায় অনিয়ম আছে বা যদি কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকে সমূলে সে দুর্নীতিকে উৎপাটন করব। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এবার পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া জাহিদ মালেক, ‘লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবার গুণগত উন্নয়ন করা, পাশাপাশি স্বাস্থ্যশিক্ষার ওপরও নজর দেওয়া। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপরও নজর দেওয়া প্রয়োজন। সেদিকেও আমি নজর দেব।
নতুন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন ‘আমি গণমাধ্যমের সাথে রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করার জন্য এবং দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, সে প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে এবং ইশতেহারে যে লক্ষ্যের কথা বলেছি যে স্বপ্নের কথাগুলো বলেছি, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমি গণমাধ্যমের সহায়তা চাই।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যে অসমাপ্ত কাজগুলো আমি করি নাই, সেগুলো সমাপ্ত করব।’
শপথ নেওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (বাঁ থেকে)। ছবি : এনটিভি
এবারের মন্ত্রিসভায় এসেছে অনেক নতুন মুখ। সবার একটাই প্রতিশ্রুতি, দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরো বেগবান ও শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাওয়া।
প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে এ দেশ যে উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করেছে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই হচ্ছে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।’
প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আগামীতে এ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাতে আরো ভালো অবদান রাখতে পারে সেজন্য এটাকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলে, সুন্দর করে সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে যাতে পৌঁছাতে পারি সেজন্য আমরা সতর্ক থেকে কাজ করব।’
শপথ নেওয়ার পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম (ওপরে বাঁ থেকে)। ছবি : এনটিভি
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেটের যে সংযোগ সেটা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে পারব আগামী ২০২৩ এর মধ্যে।’
প্রথমবার সাংসদ হয়েই পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে যেভাবে ঢেলে সাজানোর দরকার সেভাবে চেষ্টা করব।’
প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ সদস্যের এবারের মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।