আমরা রাজনীতি থেকে রাজচালাকিতে সরে যাচ্ছি : ড. কামাল
সংকট তৈরি না করে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নতুন করে সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ে যারা উল্লাস করছে তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণফোরাম। আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা, তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বর্তমান আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু জণগণকে নিয়ে রাজনীতি করতেন, কিন্তু ক্ষমতার লোভে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা জনবিচ্ছিন্ন, উল্লেখ করে আলোচনা সভায় ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এমন বাংলাদেশ দেখতে চায়নি জনগণ।
ড. কামাল বলেন, ‘সরলভাবে বলেছি, যে ভাই সকালে সকালে যেয়ে ভোট দেবেন। তো সে টেলিভিশনে বলছে, কামাল হোসেন বুঝতে পারছেন না, ঘটনা তো রাত্রেই ঘটে গেছে। তৃতীয়বারের মধ্যে পাঁচ বছর আমরা হয়ে যাচ্ছি, এই ধরনের তথাকথিত নির্বাচন, এটা কোনো সুস্থ মানুষের করার কথা না। মানসিকভাবে কেউ সুস্থ থাকলে এগুলো করতে পারে না। আমি সত্যি মনে করি যে এটা অসুস্থ মানুসিকতার পরিচয়।’
৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজচালাকি, আমরা রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছি রাজচালাকিতে। তো আমি বলব যেটা ৩০ ডিসেম্বর হয়েছে, এটা সেই রাজচালাকির একটা খুব সুন্দর উদাহরণ।’
ড. কামাল বলেন, নির্বাচনের নামে প্রহসনের কলংক থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে প্রয়োজন সবার ঐক্যমতে আরেকটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বছরের প্রথম দিকে সংকট সৃষ্টি না করে যেসব করা হয়েছে বলেন, এগুলো কোনোটাই থাকবে না। সবার সঙ্গে জাতীয় সংলাপ, আমি মনে করি সবচেয়ে ভালো পথ। সংলাপের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হোক যে কিভাবে আমরা সংবিধানকে মেনে নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকার, সংসদ গঠন করব।’
জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও আলোচনা সভায় জানান বক্তারা।