পুলিশের ছত্রছায়ায় অবৈধ কাজ হলে থেকে লাভ কী?
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ বলেছেন, পুলিশের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা, ভূমি দস্যুতা, বালু ব্যবসা হলে নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার পুলিশ থেকে লাভ কী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনার চত্বরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার।
নারায়ণগঞ্জে কোনো ধরনের অবৈধ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম মেনে নেওয়া হবে না। অপরাধের সঙ্গে তথাকথিত নেতা এমনকি পুলিশ যেই জড়িত থাকুক তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের (পুলিশের) ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা হবে, পুলিশের ছত্রছায়ায় ভূমিদস্যু হবে, পুলিশের ছত্রছায়ায় বালু ব্যবসা হবে, তাহলে আমরা নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার পুলিশ থেকে লাভ কী? সন্ত্রাস দমনে কঠোর হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। ভূমিদস্যুতা, জবরদখল ও মাদক ব্যবসা করে কেউ রেহাই পাবে না। এদের ক্ষেত্রে কোনো দলের পরিচয়ও গুরুত্ব পাবে না।’
কোনো পুলিশ সদস্য ভূমিদস্যুতার সঙ্গে জড়িত থাকলে গোপনে তার নামে অভিযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘জমি দখল করা, ভূমিদস্যু... আমার কাছে যে লিস্ট এসেছে এর মধ্যে কিছু কাউন্সিলরের নামও এসেছে। সাধারণ মানুষের জায়গাজমি দখল করে নিচ্ছে। তারা (সাধারণ মানুষ) অত্যন্ত বিড়ম্বনায় পড়ছে। তাদেরকে মারধর করা হচ্ছে। অনেক সময় থানায় অভিযোগ পর্যন্ত আসে না। যদি আপনাদের কাছে এরকম অভিযোগ আসে, যে কারো বাড়িঘর কেউ দখল করে নিচ্ছে আমাদের জানাবেন।’
‘ভূমিদস্যু যতো পাওয়ারফুলই হোক সে যদি কারো জায়গাজমি দখল করে, গতকাল রাতেও একজন ভূমিদস্যু, তাকে আমরা অ্যারেস্ট করেছি। আমার কথা হলো পরিষ্কার, যে যার জমিতে থাকবেন, সে তাঁর জমিতে থাকবেন। এখন কেউ এসে জোর করে তুলে দিবেন, এটা হবে না। তাঁর জন্য আইন আদালত রয়েছে, আদালতে যাবেন।’
নাগরিক সুবিধা ফিরিয়ে আনতে যত্রতত্র ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা বা কোনো প্রকার যানবাহনের স্ট্যান্ড তৈরি করা যাবে না উল্লেখ করে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। সে রাস্তাটি যদি হকার এবং সিএনজি চালকরা দখল করে নেয়, তাহলে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। তাই আমি মনে করি এটা আমাদের দায়িত্ব- রাস্তাকে হকারমুক্ত করা, যানজটমুক্ত করা।’
এছাড়া গার্মেন্ট শিল্পে অরাজকতা ও নৈরাজ্য প্রসঙ্গে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গার্মেন্ট শিল্পে অরাজকতা সৃষ্টি, নৈরাজ্য কেউ যদি করেন তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না। তথাকথিত নেতারা যদি কেউ গার্মেন্টস শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে শহীদ মিনার-সংলগ্ন একটি সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেন পুলিশ সুপার।