হিযবুত তাহরীরের ৬ জনের বিরুদ্ধে রায় ৩০ জানুয়ারি
রাজধানীর উত্তরা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
সরকারপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় গত ১৯ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ওই দিন রায় না দেওয়ায় আজ ফের দিন ধার্য করেন। তবে আজও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ফের ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাইদুর রহমান ওরফে রাজীব, কাজী মোরশেদুল হক ওরফে প্লাবন, এম এ ইউসুফ, তানভীর আহমেদ ও তৌহিদুল আলম চঞ্চল।
হিযবুতের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন আহমেদ উত্তরা থানার মামলায় ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিন নেন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সময় থেকে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদকে পরিবারসহ গ্রিন রোডের বাসায় নজরবন্দি রাখা হয়। পরে উত্তরা থানার একটি মামলায় ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই মামলায় ২১ এপ্রিল সংগঠনটির সেকেন্ড ইন কমান্ড সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কাজী মোরশেদুল হককে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত চান মিয়া হাউজিংয়ের বাসা থেকে আটক করা হয়।
২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক নুরুল আমীন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তখন অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় বিচার আটকে ছিল। পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের ৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
হিযবুত তাহরীর ২০০১ সালে প্রথম ধানমণ্ডিতে একটি সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বিশ্বের অনেক দেশেই এটি নিষিদ্ধ সংগঠন।