দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল সিটি’ হবে সিলেট : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পর্যটন শহর সিলেট দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল সিটি’ হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘এখানে সবাই যেকোনো স্থান থেকে বিনা পয়সায় ওয়াইফাই সুবিধা পাবে।’
আজ বুধবার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি হবে সিলেট। যেখানে যেকোনো জায়গা থেকে সবাই ওয়াইফাই সেবা বিনে পয়সায় পাবে। এগুলো ম্যানেজ (পরিচালনা) করতে আমাদের অনেক দক্ষ লোক দরকার। যা বাস্তবায়নে আমাদের এই নবীন শিক্ষার্থীসমাজ এগিয়ে আসবে।’
দেশের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নতি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন দেশে আর কোনো মঙ্গা নেই। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা সামাজিক অবস্থানে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তবায়ন চাই, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান নিশ্চিত থাকবে। গত ১০ বছর যেভাবে দেশের অগ্রগতি হয়েছে আমরা যদি সেভাবে এগিয়ে যাই তবেই আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবাই নিজেদের মধ্যে বিশ্বস্ততা অর্জন করুন। আমরা বিজয়ের জাতি, আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারব।’
শাবির সাথে নিজের আত্মিক সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়ে সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় ভালো একটি অঞ্চলে অবস্থিত। বর্তমান সরকার এই সিলেট অঞ্চলে হাইটেক পার্ক ও প্রাইভেট ইকোনোমিক জোন তৈরি করছে। তা ছাড়া এখানকার বিমানবন্দরও অনেক বড় করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সিলেট জেলায় শিক্ষার হার কম। এর কারণ বিদেশ যাওয়া ছাড়াও অবকাঠামোগত অভাব। এই বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে।’
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, ভর্তি কমিটির সভাপতি শামসুল হক প্রধান, সদস্য সচিব জহীর উদ্দিন আহমেদ, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, রেজিস্ট্রার ইসফাকুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, সিলেবাস, মাইগ্রেশন ফরম এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র দেওয়া হয়।