খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ধর্মীয় উসকানির অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে নালিশি মামলাটি করেন। পরে বিচারক মামলাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরে গত বছরের ৩০ জুন শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া হলো।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি কটূক্তি করেন।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’
বিএনপির চেয়ারপারসন আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোকদেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এই জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে ওই দিন নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।