বাবাকে পুলিশ আটক করায় শ্বশুরকে খুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন আলীগঞ্জ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত ওয়াহাব মিয়ার জামাতা অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, তিন মাস আগে আলীগঞ্জের বাসিন্দা ওয়াহাব মিয়ার মেয়ে শাহনাজ আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফতুল্লার দাপা এলাকার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই আলমগীর মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরতেন আর যৌতুকের দাবিতে শাহনাজকে নির্যাতন করতেন। এ কারণে বিয়ের এক মাস পরেই শাহনাজ তাঁর বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং নারায়ণগঞ্জের আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার বিকেলে পুলিশ আলমগীরকে না পেয়ে তাঁর বাবা আবদুস সাত্তারকে আটক করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে আলমগীর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে তাঁর স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এ সময় শাহনাজের বাবা ওয়াহাব মিয়া বাধা দিলে আলমগীর ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর বুকে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা এসে আলমগীর হোসেনকে আটক করে এবং ছুরিকাহত ওয়াহাব মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং আটক আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।