বৈদ্যুতিক খুঁটি বহাল, চলছে না রাস্তার কাজ
নওগাঁ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের ৭৪ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। ৭০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু বাকি কাজের একটি অংশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।
এই আঞ্চলিক সড়কের নওগাঁর বাইপাস ঢাকার মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের মধ্য দিয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে রয়েছে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) বৈদ্যুতিক খুঁটি। দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দেওয়া ও অর্থ পরিশোধের পরও খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে আটকে গেছে রাস্তার কার্পেটিংসহ অন্যান্য কাজ। আর এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাসে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তার আগে জানুয়ারি মাসেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে খুঁটিগুলো সরানোর জন্য নেসকোকে অর্থ পরিশোধ করা হয়। কিছু খুঁটি সরিয়েও নেয় নেকসো। কিন্তু অধিকাংশই পড়ে আছে রাস্তার মাঝখানে।
এর ফলে রাস্তায় খোয়া ও পাথর বসানোর কাজ শেষ হলেও খুঁটি থাকায় বিটুমিনাস কাজ (ওয়ারিং কোর্স/সার্ফেসিং) শুরু করা যাচ্ছে না। এতে করে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তায় পড়ে আছে খোয়া ও পাথর। এখন রাস্তার মধ্যে ছোট ছোট খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের দোকানগুলোতে রাস্তার ধুলার স্তূপ জমা হচ্ছে।
নওগাঁ শহরের আরজি-নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা গোলাম রাব্বানী মার্কেটিং এলাকায় চাকরি করেন। তিনি বলেন, ঢাকার মোড় থেকে নওগাঁ শহরের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মোটরসাইকেল নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন তিনি। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করতে জামা-কাপড়ের ওপর ধুলার স্তূপ পড়ে এমন অবস্থা হয় যে চেনাই যায় না। এ ছাড়া খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রাস্তায় ঠিকমতো চলাচলও করা যায় না। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে ও রাস্তার কাজটি দ্রুত শেষ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, নওগাঁ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত মোট ৭৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলছে। এর ১১ কিলোমিটারের মধ্যে নেসকোর বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ বাবদ প্রায় আট কোটি টাকা নেসকোকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত খুঁটি অপসারণ করছে না তারা। ফলে কাজও হচ্ছে না। ফলে খুঁটি সরানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁর প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘শুধু আমাদের গাফিলতির কারণে কাজটা হচ্ছে না, এটা ঠিক না। আমাদের অনেক কাজ এরই মধ্যে হয়েছে। যে ৪০ ভাগ কাজ হয়ে গেছে, তারা সেখানে কাজ করতে পারেন। আমাদের বিভাগে মালামালের কিছুটা সংকট রয়েছে। যার কারণে পর্যাপ্ত মালামাল বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না। কাজ সম্পন্ন করতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।’