স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবজালের ভাই ও শ্যালককে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজালের দুই ভাই ও তিন শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাঁরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা শামছুল আলম তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের দুই ভাই ফরিদপুর টিবি হাসপাতালের ল্যাব সহযোগী মো. বেলায়েত হোসেন ও মো. লিয়াকত হোসেন এবং আবজালের তিন শ্যালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাখালী অফিসের গাড়িচালক মো. রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. বুলবুল ইসলাম ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. শরিফুল ইসলাম।
এর আগে তাঁদের গত ২২ জানুয়ারি তলব করা হলেও তাঁরা হাজির হননি। গতকাল (৩০ জানুয়ারি) একই অভিযোগে লাইন ডিরেক্টর (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
গত ১০ জানুয়ারি শত টি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও ১৪ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনিসুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অনুসন্ধান করছে।