‘বিএনপি ও জামায়াতের চিন্তা-চেতনা একই’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি জামায়াতকে কিংবা জামায়াত বিএনপিকে ছাড়বে না। বিএনপির ও জামায়াতের চিন্তা-চেতনা অনেকটা একই।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নসহ সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমার কাছে মনে হয় না যে বিএনপি জামায়াতকে অথবা জামায়াত বিএনপিকে ছাড়বে। এটা হলেও কৌশলগত হতে পারে। তাদের চিন্তাভাবনা, তারা যেই চেতনা ধারণ করে সে ক্ষেত্রে তারা অনেক কাছাকাছি। দুটির চেতনা একই। কোনটা উদার, আবার কোনটা উগ্রপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের চিন্তাভাবনা, যে আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে সেখানে তারা খুব কাছাকাছি নয়? অনেক কাছাকাছি। আমি মনে করি, দুটোই সাম্প্রদায়িক দল।’
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কারা এলো আর কারা বয়কট করল, এটা নিয়ে আসলে খুব একটা দুশ্চিন্তা বা মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনেকে দলীয় প্রতীকে না করলে স্বতন্ত্রভাবেও করতে পারে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে যতটা খবর, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অনেক জায়গায় ইলেকশন করবে। এর কোনো প্রভাব-প্রতিক্রিয়া আছে বলে মনে করি না। এলে ভালো, না এলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব হবে না।’
ডাকসু নির্বাচনে বিএনপির ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে না—এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অংশ নেবে না, এটা তারা এখনো ঘোষণা দেয়নি। দেখা যাক, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার এখনো তো অনেক সময় বাকি আছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ কথাটা বলা যাবে। আপাতত দাবি-দাওয়ার প্রশ্নে কিছু কিছু স্ট্যান্ড তো দলগতভাবে থাকতেই পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো যা বলবে, ছাত্রদল সেটাই মেনে নেবে। ছাত্রদল তারেক রহমান অনুগত শুরু থেকেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কথাই তারা শুনবে বলে আমি মনে করি।’
বিএনপি বলছে ডাকসু নির্বাচনও সরকার একতরফাভাবে করবে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে একতরফা বা ইন্টারফেয়ারেন্সের সুযোগটা কোথায়? এখানে কি কেউ কেন্দ্র দখল করবে? এখানে কি সূক্ষ্ম কারচুপির কোনো সুযোগ আছে? কীভাবে হবে? ডাকসুর ইলেকশনে তো প্রকাশ্যে ভোটাভুটি হবে।’
সড়ক দুর্ঘটনাকে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে যাঁরা বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁদের নিয়ে কমিটি করে দেবো। এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। কারণ, সড়ক দুর্ঘটনা এখন সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেট্রোরেল, পাতাল রেলসহ যেসব কাজ হচ্ছে, এতে অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে। বিভিন্ন সড়কে কাজ চলছে, সেগুলো হলে অনেক সমস্যাই কমে যাবে। এখন দুর্ঘটনার সংখ্যা কম, কিন্তু নিহতের সংখ্যা বেশি।’