উদ্ধারের পর ঠিকানা পেল গন্ধগোকুলটি
‘চিনি ও আতপ চালের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল প্রাণীটির শরীর থেকে। দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতোই। তবে কাঠবিড়ালি নয়, বেশ বড়ই হবে আকারে।’
গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁ সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে হঠাৎ করেই অচেনা প্রাণীটির খোঁজ পেয়ে এমনটিই বর্ণনা দিচ্ছিলেন ওই গ্রামের দুই বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও সুধাম চন্দু মণ্ডল।
শেষ পর্যন্ত প্রাণীটির পরিচয় পাওয়া গেছে। নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, উদ্ধার করা প্রাণীটির নাম গন্ধগোকুল।
প্রাণীটির কোনো ক্ষতি করেনি স্থানীয় বাসিন্দারা; বরং এটিকে উদ্ধার করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন তাঁরা।
বিলুপ্তপ্রায় বলেই তো হঠাৎ করেই এই গন্ধগোকুলকে চিনতে পারেনি গ্রামবাসী।
এর আগেও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি গন্ধগোকুল পাওয়া গেছে বলে জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উত্তম কুমার। তিনি বলেন, ‘উদ্ধার করা সব প্রাণীকে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা এই গন্ধগোকুলকেও আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসীর দাবি, এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হোক।