অনুকূল পরিবেশ থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ আসছে : সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্যের অনুকুল পরিবেশ থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরো যাতে আগ্রহী হয় সেজন্য সরকার ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করেছে। যেখানে গ্যাস বিদ্যুৎ পানিসহ সব সুবিধা থাকছে। সরকারের সহায়তায় মেঘনা গ্রুপ আড়াই বছরে ইকোনমিক জোন তৈরি করতে পেরেছে। সরকার ১০০ ইকোনমিক জোন তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে টিআইসি ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সালমান এফ রহমান। উদ্বোধন শেষে কারখানা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পোশাক শিল্পে ব্যবহারের জন্য হ্যাঙ্গার তৈরির এই প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়ার টিআইসির সঙ্গে মেঘনা গ্রুপ যৌথভাবে চালু করেছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার উদ্যোগ না নিলে এই অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগটা আসত না। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) মেঘনা গ্রুপকে ইকোনমিক জোন করার অনুমতি দিয়েছে, ফলে এই বিনিয়োগগুলো আসছে। এ জন্য আমি প্রথমে মেঘনা গ্রুপকে অভিনন্দন জানাতে চাই। মাত্র আড়াই বছরে তারা এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটাকে ডেভেলপ করতে পেরেছে। আমি বেজাকেও অভিনন্দন জানাই। কারণ সরকার যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে চায় সেটি বেজা করে দিয়েছে। দুটি পক্ষেরই এখানে সাংঘাতিক একটি অবদান আছে।
এ সময় ১২ মাসের মধ্যে একটি ফ্যাক্টরি করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি টিআইসিকেও অভিনন্দন জানান সালমান এফ রহমান।
সালমান এফ রহমান বলেন, যদি অনুকূল পরিবেশ থাকে তাহলে সবকিছুই সম্ভব, তার প্রমাণ আমরা আজকে পাচ্ছি। অন্য বিদেশি উদ্যোক্তারাও এটি দেখবেন এবং নিজেরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও তাঁর গ্রুপের সঙ্গে জাপান, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার টিআইসি পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার টিআইসির ফ্যাক্টরিটা ১২ মাসের মধ্যে করার কথা ছিল, আমরা সেটি ১০ মাসের মধ্যে করে দিয়েছি। তারা বিশ্বাস করতে পারে নাই যে বাংলাদেশে এত তাড়াতাড়ি এটা পারবে কি না। প্রতি মাসে উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করেছে এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। আজ থেকে তারা কমার্শিয়াল প্রোডাকশনে গেছে।
মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিক জোনের এই উদ্যোক্তা আরো জানান, টিআইসি ছাড়াও জাপানি কোম্পানি ‘সাকাতা’ আমাদের জমি বাবদ পাঁচ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তাদের কত বিনিয়োগ রয়েছে সেটা জানি না। তাদের এবং আমাদের টেকনিক্যাল টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি ‘সিকা’র সঙ্গেও চুক্তি সম্পন্নের পর্যায়ে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বেজার নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট, ঢাকা মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিহাদ কবীরসহ অন্যরা।