খাদ্যে ক্ষতিকর রং ও অ্যামোনিয়া!
খাদ্যে ক্ষতিকর রং, অ্যামোনিয়া ও স্যাকারিন মেশানোর দায়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুরের প্রিন্স বেকারিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ ছাড়া আদর্শ আকার থেকে ছোট মাপের ইট তৈরির দায়ে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজীরটেক এলাকার মেসার্স পলাশ ব্রিকসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসাইন পরিচালিত বাজার তদারকি কার্যক্রম টিম
আজ মঙ্গলবার এই জরিমানার আদেশ দেন। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠান দুটিকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, অতিদ্রুত যথাযথ নিয়ম না মেনে উৎপাদন করলে আরো কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাজার তদারকি টিমের পরিচালক ইব্রাহিম হোসাইন জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভৈরব উপজেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ কর্তৃক বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় আদর্শ আকার থেকে ছোট মাপের ইট তৈরির কারণে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজীরটেক এলাকার মেসার্স পলাশ ব্রিকসকে ৪০ হাজার এবং খাদ্যে ক্ষতিকর রং, অ্যামোনিয়া ও স্যাকারিন মেশানোর অপরাধে শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর এলাকার প্রিন্স বেকারিকে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জব্দ করা রং, অ্যামোনিয়া ও স্যাকারিন স্পটে ধ্বংস করা হয়।
জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত তদারকি কার্যক্রমে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এই অভিযান আগামীতেও চলমান থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ইব্রাহিম হোসাইন।