আত্মসমর্পণের পর টেকনাফে প্রথম ‘বন্দুকযুদ্ধ’, রোহিঙ্গা নিহত
ঘটা করে কক্সবাজারের টেফনাফ উপজেলায় গত শনিবার মাদক ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১০২ জন ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। তার চার দিন পর আজ বুধবার ভোররাতে সেখানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম মো. জাফর আলম। তিনি মিয়ানমারের নাগরিক ও রোহিঙ্গা মুসলিম। তিনি টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া মুছনী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরীর ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রোহিঙ্গা যুবক জাফর আলমকে আটক করে বিজিবি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, আজ বুধবার ভোরে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর স্লুইসগেট দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে।
‘এই সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জাফর আলমকে নিয়ে ওই স্থানে ওত পেতে থাকে। ভোরে মিয়ানমার থেকে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। সঙ্গে সঙ্গে চোরাকারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’
এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন বলে দাবি করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান। তিনি আরো বলেন, ‘এ সময় বিজিবিও ২০-২৫টি গুলি করে। এতে জাফর আলমের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ হাজার ইয়াবা এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে বিজিবি।’
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর মাদক চোরাচালানের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গত শনিবার শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শপথ নেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর জেলায় প্রায় প্রতিদিনই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন মাদক কারবারিদের হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এ সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শুধু কক্সবাজারেই ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলাতেই নিহতের সংখ্যা ৩৯ জন। তাদের মধ্যে ২৫ জন টেকনাফের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। রয়েছেন দুজন জনপ্রতিনিধিও।