দেশের নিরাপত্তার জন্য এনটিএমসি ভূমিকা রাখবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন একটি প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে (এনটিএমসি) আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বুধবার রাজধানীর পুরোনো বিমানবন্দর সংলগ্ন এনটিএমসি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তদন্তকারী সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার পর একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমন্বিতভাবে এনটিএমসির তথ্য কাজে লাগিয়ে কীভাবে তদন্তসংস্থাগুলো কাজ করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংস্থার প্রধানরা এনটিএমসির কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের আত্মপ্রকাশ হয়। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে আইন ও অবকাঠামোর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ মাধ্যমকে নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং করে আসছে সংস্থাটি। অপরাধীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার হিসেবে এনটিএমসিকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনটিএমসির কাজের জন্য তাদের আর কী প্রয়োজন। আর এটিকে কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায় সেটাই দীর্ঘক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। একটা কমন প্লাটফর্ম করা যায় কি না, যেখান থেকে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা সব তথ্য পেতে পারে। দেশের নিরাপত্তার জন্য, দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য এই এনটিএমসিটা ভূমিকা রাখবে।
সংস্থাটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান জানান, জাতীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন একটি প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের যোগাযোগ মাধ্যমের অপারেশনাল কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কাজ করছেন তারা। অপরাধী শনাক্তকরণ ও যোগাযোগ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এই সংস্থার কাছ থেকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আধুনিক মনিটরিং সুবিধা পাচ্ছেন।
এনটিএমসির পরিচালক আরো বলেন, আমরা সব সংস্থার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমরা সব তথ্য গ্রহণ করি। আমাদের মতো করে বিটিআরসিও কাজ করছে। তারা প্রতি সপ্তাহে মিটিং করে এবং মিটিংয়ের মাধ্যমে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমস্যাটা কী।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উদ্দেশ্যমূলক নয়, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদের যোগাযোগ মাধ্যমই মনিটরিং করবে এনটিএমসি।
সংস্থাটি জানায়, এরই মধ্যে জঙ্গি তৎপরতার কাজে ১৪১টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ প্রায় ২০০ ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিনিকেশন মনিটরিং সেন্টার।