চকবাজারের আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজে বিমান বাহিনী
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় পাঁচটি ভবনে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে এবং ভবনগুলোতে কেউ আটকে থাকলে তাদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও আজ বৃহস্পতিবার সকালে যখন আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছিল, তখন অগ্নিকাণ্ডস্থলের আকাশে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়।
সেখানে উপস্থিত বিমান বাহিনীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ) স্কোয়াড্রন লিডার সঞ্জিব চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, পানি স্বল্পতার খবর পেয়ে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে চার গাড়ি পানি নিয়ে আসা হয়েছে।
সঞ্জিব চৌধুরী বলেন, এ ছাড়া দুটি হেলিকপ্টার আকাশে উড়ছে। কাউকে উদ্ধার করার প্রয়োজন হলে কিংবা উপর থেকে পানি ছুড়তে হলে সেগুলো ব্যবহৃত হবে। তেজগাঁও বিমানঘাঁটিতে আরো চারটি হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
রিজার্ভ পানি যতটুকু প্রয়োজন হয় তা সরবরাহের জন্য বিমান বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান স্কোয়াড্রন লিডার সঞ্জিব।
গতকাল রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারো কারো মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে এয়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। ১৩টি স্টেশন থেকে তারা এসেছে।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম। রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, এখানে আসার রাস্তার দুইপাশই সরু। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহজে ঢুকতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ভবনে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।