গাজীপুরে অজ্ঞান ও মলম পার্টির ৭ সদস্য আটক
গাজীপুরে অজ্ঞান ও মলম পার্টির সাত সদস্যকে আটক করেছেন র্যাব-১-এর সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পোড়াবাড়ী মাস্টারবাড়ী এলাকার কাউলতিয়া রোডের গিয়াসউদ্দিন মার্কেটের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা এলাকার বাসিন্দা মো. ইমরান ব্যাপারী (৫৫), শিবচর উপজেলার রিয়াজউদ্দিন মাতবরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মো. মাহবুব ফকির (৩৭), নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোঘোলা এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন (৪০), কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. কারিবুল ইসলাম (৫১), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাটিয়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল খালেক (৮২), সোনাবর এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল মতিন (৬০) ও বরিশালের হিজলা উপজেলার চরমেমান্না এলাকার বাসিন্দা মো. জামাল হাওলাদার (৪০)।
র্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুল্লাহ আল-মামুন দাবি করেন, চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন চলন্ত বাসে উঠে এবং জনাকীর্ণ স্থানে গিয়ে নানা কৌশলে ওষুধ মেশানো দ্রব্যাদি খাইয়ে সাধারণ মানুষদের অজ্ঞান করে। তারপর তাঁদের কাছ থেকে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। তাদের এসব ওষুধের ব্যবহারের ফলে অনেকের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
র্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের উপপরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন আহমদ জানান, গতকাল রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন পোড়াবাড়ী মাস্টারবাড়ী এলাকায় অজ্ঞান ও মলম পার্টির ভয়ংকর কয়েকজন সদস্য অপরাধকর্ম সংঘটনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে বলে গোপন সংবাদ পায় র্যাব। এরপর র্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকার কাউলতিয়া রোডের গিয়াসউদ্দিন মার্কেটের সামনে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান ও মলম পার্টির সাত সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত ঘুমের ওষুধ মেশানো বিষাক্ত হালুয়া, লুট করা নয়টি মোবাইল ফোন ও ছয় হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এএসপি সালাউদ্দিন দাবি করেন, আটক হওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই চক্রটির সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন যানবাহনসহ জনাকীর্ণ স্থানে এ ধরনের কাজ চালিয়ে আসছে। তারা সাধারণ মানুষকে ঘুমের ওষুধ মেশানো হালুয়াসহ নানা দ্রব্যাদি খাইয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। তাদের মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষ ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় অজ্ঞান হয়ে থাকে। এতে করে বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে।