ভৈরবে হলো পিঠা উৎসব
যে জাতি তার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়, সে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। সে জাতির পতন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। কারণ, ঐতিহ্য হলো একটি জাতির পরিচয়ের মূল সোপান। হালখাতা, বর্ষবরণ, নবান্ন উৎসব ইত্যাদি হলো আমাদের বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। আর এসব উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো বিভিন্ন ধরনের খাবার। এরমধ্যে পিঠা হলো অন্যতম।
শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভা চত্বরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা এসব কথা বলেন। ভৈরব পিঠা উৎসব পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, আবহমানকাল থেকে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হরেক রকমের পিঠা বাঙালি পরিবারের রসনা বিলাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে থাকলেও, বর্তমান যান্ত্রিক নগরজীবনে সেই ঐতিহ্য আজ অনেকটায় ম্রীয়মান হয়ে উঠছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত উৎসবে নানা রকমের পিঠা। ছবি : এনটিভি
সেটাকে টিকিয়ে রাখতে এমন উৎসবকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে আখ্যায়িত করেন অতিথিরা। তাই তারা আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে সাধুবাদ জানান পিঠা উৎসব আয়োজক কমিটিকে। তাঁরা এই আয়োজনের ধারাবাহিকতাও প্রত্যাশা করেন তাদের বক্তব্যে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সোলায়মান, ভৈরব পৌরসভার মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ প্রমুখ।
ভৈরব পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। ছবি : এনটিভি
ভৈরব পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মো. আল আমিন। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাকির হোসেন কাজল, সংগঠক মো. রফিকুল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ভৈরব উপজেলার শাখার সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ, প্যানেল মেয়র মো. আল আমীন, নাট্যকার সাগর রহমান, ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ সৌরভ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে অতিথিরা নানা ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে সাজানো স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। পিঠার বৈচিত্রতা আগত দর্শক ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখে তারা মুগ্ধ হন।