ভৈরবে স্কুলের সামনে থেকে অবৈধ দোকান সরানোর দাবিতে মানববন্ধন
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কমলপুর হাজী জনাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পৌরসভার রাস্তার ওপর থেকে অবৈধ দোকানপাট অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। মানববন্ধনে স্কুলটির বিক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। আজ সোমবার সকালে স্কুলের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফসা জানায়, কিছুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে এখানে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত হয়। দোকানিদের ভিড়ের মধ্যে একটি রিকশা তার ওপর উঠে যায়।
একই শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ আল হাদী জানায়, স্কুলের সামনে দোকানপাট থাকায় শুধু আসা-যাওয়ায় নয়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথাবার্তার কারণে তাদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটে।
অভিভাবক মো. নাদিম মিয়া জানান, এখানে স্কুলের সামনের রাস্তায় তাঁরা কোনো দোকানপাট চান না। দোকানিদের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে। একই দাবি জানান, অপর অভিভাবক জেসমিন বেগমও।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রিনা বেগম জানান, তাঁর স্কুলে ৭৫০ জনের বেশি কোমলমতি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। স্কুলসংলগ্ন রাস্তার ওপর প্রায় অর্ধশত দোকানপাট বসার কারণে চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আসা-যাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। অন্যদিকে ছোট ছোট শিক্ষার্থী সরু রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হচ্ছে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
হাজী জনাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এনামুল হক জাহাঙ্গীর জানান, স্কুলের সামনে পৌরসভার রাস্তার ওপর থাকা দোকানগুলোর জন্য পথচারী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। দোকানপাট বসার কারণে রাস্তাটি ছোট হয়ে গেছে। ফলে রাস্তা দিয়ে রিকশা চলাচল করার সময় শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি পৌরসভার রাস্তাকে নিজের দাবি করে দোকানিদের কাছ থেকে দৈনিক হারে টাকা নিয়ে বসার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ কারণে বারবার বলা সত্ত্বেও দোকানিরা রাস্তার ওপর থেকে তাদের দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছেন না।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু জানান, বিদ্যালয়ের সামনে দোকান বসায় স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তা থেকে দোকান সরানোর জন্য তিনি নিজেও বেশ কয়েকবার হারুণ মিয়াকে বলেছেন বলে জানান।
পৌরসভার রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে দোকানিদের কাছে ভাড়া দেওয়া হারুনুর রশিদ জানান, স্কুলের জায়গা নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর মামলা চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ যে জায়গাকে পৌরসভার রাস্তা বলে দাবি করছে, সেটি তাঁর নিজের জায়গা বলে দাবি করেন তিনি।