ভৈরবে আট দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলার সমাপ্তি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আট দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বইমেলার উদ্বোধন করেছিলেন।
ভৈরব বইমেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বইমেলার সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সোলায়মান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া।
সমাপনী আলোচনা সভায় বক্তারা, বই কিনতে এবং বেশি বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, বই মানুষের মনের দ্বার খুলে দেয়। বইপড়া লোকের মন হয় আকাশের মতো সুবিশাল, সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে।
ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ সৌরভের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মোল্লা, ভৈরব প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মো. বজলুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা শেষে আটদিনের বইমেলায় প্রতিদিন অনুষ্ঠিত শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
ভৈরব রাজকাচারী (উপজেলা ভূমি অফিস) মাঠে ভৈরব বইমেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ২২তম বইমেলায় এবার ২০টি বইয়ের স্টল বসে। এইসব স্টলে সব বয়সী পাঠকের আগমন ঘটে প্রতিদিন।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা জানান, এবার মেলার অন্যান্য আয়োজনের মতো বই বিক্রিও সন্তোষজনক ছিল। মেলার ২০টি বইয়ের স্টলে এবার ১০ লাখ টাকার চেয়েও বেশি মূল্যের বই বিক্রি হয়েছে। এসব বইয়ের মধ্যে উপন্যাসের বিক্রি ছিল সর্বাধিক বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া মেলা মঞ্চে প্রতিদিন স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক। প্রতিদিন বিপুল দর্শক ওইসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।