যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় সন্দেহভাজন’ নিহত
যশোর শহরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শামীম (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, ওই ব্যক্তি শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার শিশু তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি।
আজ বুধবার ভোরে শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান দাবি করেছেন।
গত ৩ মার্চ বিকেলে যশোরের ধর্মতলা এলাকার তরিকুল ইসলামের মেয়ে তৃষা বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে তৃষার বাবা তরিকুল ইসলাম শামীমকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেন।
আজ বুধবার সকালে পুলিশ কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান দাবি করেন, গোপন সূত্রে রাত ৩টায় পুলিশ জানতে পারে, খোলাডাঙ্গা এলাকার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে শিশু তৃষা ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন কয়েকজন আসামি অবস্থান করছে। পুলিশের দুটি টিম সেখানে অভিযান চালায়।
‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ও বোমাবাজি শুরু করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা ১০টি গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে মিলের পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।’
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ওই ব্যক্তিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি গুলি ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মরদেহের মাথার বাঁ পাশে গুলি লেগেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তির নাম শামীম বলে শনাক্ত করা হয়েছে। শামীম শিশু তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি।’