সুলতান মনসুর প্রতারণা করেছেন, বিএনপি সংসদে যাবে না
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্টের তেমন কোনো নেতা ছিলেন না। তাঁর শপথ নেওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের কোনো ক্ষতি হবে না। এ ছাড়া বিএনপি তাদের আগের সিদ্ধান্তেই রয়েছেন। তাঁরা সংসদে যাচ্ছেন না।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীর সমধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী নির্যাতন, খুন ও গণধর্ষণের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে নারী দিবস এমন এক সময়ে আমাদের মাঝে এসেছে, যখন বাংলাদেশের নারীরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হচ্ছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের কথা, আজকে একজন নারী যিনি বাংলাদেশের নারী জাগরণের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছেন, মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন। তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দখলদার সরকার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, জনগণের অধিকারকে বঞ্চিত করে, ক্ষমতা দখল করেছে। এই সরকার আজকে সমস্ত জাতির উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। তাঁরা আজকে আমাদের মা-বোনদেরও রেহাই দিচ্ছে না। তাদেরকে নির্যাতন করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। আজকে আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনীতিক প্রতিহিংসার কারণে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। যিনি দীর্ঘকাল নারীদের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
‘বর্তমান সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা দখলদারী সরকার, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোনো সরকার নয়। আজকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের মতো জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। জনগণের সব অধিকার বঞ্চিত করে তাদেরকে দমন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে তাদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আজকে এই নারী দিবসে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, নারী সমাজের আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে চাই।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। নারী সমাজের মুক্তিও খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে জড়িত। তাই আসুন এই দিনে আমরা শপথ করি, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হই। এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। তাহলেই নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এ সময় আরো বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরীন খান, সহসভাপতি জেবা খান প্রমুখ।