বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুপ্রতিবেশীর রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বন্ধন বাকি বিশ্বের জন্য সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাকি বিশ্বের জন্য সুপ্রতিবেশীর রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ গতি অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশের রাজধানী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, ব্যবসা ও বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনযোগাযোগ ও স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন প্রথাগত ও অপ্রথাগত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশ গত এক দশকে অসাধারণ অগ্রগতির দেখা পেয়েছে।
একই সময়ে দুই দেশ সমুদ্র অর্থনীতি ও সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশবিষয়ক সহযোগিতা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন নতুন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা গত মাসে ভারতের কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের এ অঞ্চল ও বাইরে থেকে সন্ত্রাসের হুমকি নির্মূলে আমাদের সংকল্পে আমরা অবিচল।’ পুলওয়ামায় হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
‘বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং এ দেশের মাটি কখনো কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে ব্যবহার করতে দেবে না,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ অবদান দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে এক চিরস্থায়ী মাইলফলক হিসেবে থাকবে।
শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আজ প্রথমবারের মতো নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।