সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রাস্তার পাশ থেকে সিলমারা বেশ কিছু ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক প্রার্থী। বেলকুচি পৌর এলাকার সুবর্ণসাড়া পেট্রোল পাম্প এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে এসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয় বলে তাঁর দাবি।

উদ্ধার হওয়া ১০৯টি ব্যালট পেপারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউর রহমানের তালা প্রতীকে ভোট দেওয়া রয়েছে। আতাউর দাবি করেছেন, এগুলো গত ১০ মার্চ নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার। ভোটাররা তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব ব্যালট পেপার চুরি করা হয়েছে।  

রাতে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি ১০৯টি ব্যালট পেপারের উদ্ধারের খবর পেয়েছেন। এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউর রহমান একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদন করেছেন।

তবে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে আতাউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান। এজন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী বেলকুচি পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন ফারুক সরকার (টিয়াপাখি), আতাউর রহমান (তালা), আব্দুর রাজ্জাক সরকার (বই), আলহাজ আলী (চশমা), ইউসুফ আলী শেখ (উড়োজাহাজ), পিয়ার হোসেন (টিউবওয়েল)।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল মালেক, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বাচ্চু মিয়া, আব্দুর রফিক প্রমুখ।

তবে এ বিষয়ে বেলকুচির ইউএনও এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ‘ব্যালট পেপার বাইরে থেকে উদ্ধার হয়েছে কি না, তা আমরা জানি না। এ বিষয়ে প্রার্থী পুলিশ বা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ব্যালট পেপার প্রকাশ্যে প্রদর্শন করাও কিন্তু আইনত দণ্ডনীয়। উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপার সঠিক বা ছাপানো কি না, তা আমরা ক্লিয়ার না। ব্যালট পেপারের  প্রিজাইডিং অফিসারের সিলমারা থাকে। এখন উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারে সিলমারা আদৌ আছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান। আমরা তো একটি দুটি ব্যালট পেপার বাতিল করেছি। এগুলো জোরপূর্বক নিয়ে নিয়েছে। এগুলো আমরা বাতিল করেছি। এখন সেগুলো নিয়ে তারা প্রদর্শন করেছে কি না, এটা সঠিকভাবে বলতে পারব না। প্রার্থী যদি ব্যালট পেপার জমা দিয়ে অভিযোগ করতেন সেটা আমরা খতিয়ে দেখতাম। কিন্তু তিনি সেটি ফলো করেননি। ছিনতাই হওয়া ব্যালট পেপার যদি প্রার্থী নিয়ে প্রদর্শন করে থাকেন সেটা কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ হবে।’