নির্বাচন এলে যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হয়, এটি কাম্য নয়
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন এলে দেশে যুদ্ধক্ষেত্র শুরু হয়। এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য কাম্য নহে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন সিইসি।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই যুদ্ধ অবস্থা আসে। সেখানে লোক থাকতে হবে। সেন্টার পাহারা দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে এ রকম একটি পরিস্থিতি ও পরিবেশ তৈরি হয়। যেমনটি বিদেশি নির্বাচনে কখনও দেখা যায় না। একদিন আমাদের দেশেও এমন পরিবেশ আসবে। অবশ্য এখনো সে সময় আসেনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই স্থানীয় নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচনে সংখ্যালঘু ও প্রার্থীর এজেন্টরা যাতে বাধা বিপত্তিতে না পড়ে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখবেন।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, কেন্দ্রের ভেতর স্থান সংকুলান থাকায় আমরা ভোট কক্ষের ভেতর থেকে লাইভ টেলিকাস্ট করতে নিষেধ করি। কারণ এতে নির্বাচন পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে। তবে কক্ষের বাইরে থেকে চিত্রধারণ করা যাবে। নির্বাচন কেন্দ্রেই সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও প্রার্থীদের প্রতিনিধির সামনেই ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচনের আয়োজন ও প্রেক্ষাপট তৈরি করে। কারা নির্বাচন করবেন, কারা করবেন না এটা সম্পূর্ণ তাদের স্বাধীনতা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রুকন উদ্দিন আহমদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুর রহমান, ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হকসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, আনসার কর্মকর্তাসহ জেলার সবকটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা।
সিইসি কে এম নূরুল হুদা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি : এনটিভি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন নিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করা যাবে না। সকল বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভোটার ও প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো প্রার্থী ও তাঁর এজেন্টকে যেনো কেন্দ্র থেকে বের করার চেষ্টা না করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ১০ তারিখের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ প্রধান বিরোধী দল (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
নূরুল হুদা বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে উপজেলা নির্বাচন হয়ে আসছে। এবার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কিছু বিধি করে থাকে। ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইটিং অফিসার ভোট গ্রহণ করে থাকেন। কোনো কারণে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব না হলে প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন।