ভৈরবে সন্ত্রাসী হামলায় জিটিভির সাংবাদিকসহ পরিবারের ১০ সদস্য আহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সন্ত্রাসী হামলায় গাজী টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি এম.এ হালিমসহ তাঁর পরিবারের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁর স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন সাংবাদিক এম.এ. হালিম (৪৫), তাঁর স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৮), ছেলে সানজীদ ইসলাম (১৪), বড় ভাই মোবারক মিয়া (৪৮), ছোট ভাই আবদুস ছাত্তার মিয়া (৩৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেশমা বেগম (২৬), বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছোটবোন বিনা বেগম (২২), বেড়াতে আসা অপর ছোটবোন রুনা বেগম (৩৮), স্বামী মিজান মিয়া (৪২) ও ভাতিজা বাবুল মিয়া।
ঘটনার খবর শুনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান এবং হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, হামলার খবর শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হালিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী আবু সাইদ গংয়ের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে গত ৯ মার্চ হালিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই চক্রটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার তিনি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শুক্রবার দুপুরে হালিম পেশাগত দায়িত্ব শেষে ফেরার পথে বাড়ির সামনে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবু সাঈদের নেতৃত্বে জসিম, আসাদ মিয়া, হামিম, মজিদ মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, শুভ মিয়া, নবী হোসেন, সুমন, মাছুম, ডিপজল, সজল মিয়া, সাব্বির, আবির, সোহান ও আফজালসহ আরো কয়েকজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন পরিবারের অপরাপর সদস্যরা।