ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় মন্ত্রিসভায় শোক প্রস্তাব
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সভার শুরুতেই ‘বাংলা ভাষার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলা ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের লেখা স্থান পেয়েছে এই বইয়ে।
এ ছাড়া নারী দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আইএসডব্লিউ কতৃক ‘লাইফ টাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট’ পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানায় মন্ত্রিসভা।
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং বাংলাদেশ বাতিঘর আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
শোক প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৫ জন বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হন। হতাহতের ঘটনায় মন্ত্রিসভা গভীর শোক প্রকাশ করেছে।’
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলা ও হতাহতের ঘটনায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বর্তমানে ১৯৯৬ সালের ইক্ষু গবেষণা আইনের দ্বারা এ ইনস্টিটিউট পরিচালিত হয়ে আসছে। আগে শুধু আখ দিয়েই চিনি উৎপাদন করা হতো। বর্তমানে আখের পাশাপাশি তালপাতা ও গোলপাতা ইত্যাদি দিয়েও চিনি উৎপাদন করা হয়। এ কারণেই আগের আইনটি অধিকতর সংশোধন করে নুতন আরেকটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের সবগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইনের খসড়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই মাছের উৎপাদন, রপ্তানি ও আমদানির বিষয়গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। এ অধ্যাদেশটি সামরিক সরকারের আমলে তৈরি করা। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে মৎস্য খাতের বিস্তারিত সংজ্ঞা ও বিবরণ দেওয়া হয়েছে। মাছ ও মাছজাতীয় পণ্যে কোনো ধরনের ভেজাল মেশালে জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এ আইনের খসড়ায়।’
বাংলাদেশ বাতিঘর আইনের খসড়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘১৯২৭ সালের আইন দিয়ে এত দিন এ খাত পরিচালিত হয়ে আসছে। নতুন আইন কার্যকর হলে জাহাজ আগমন এবং প্রত্যাগমনের সময় জাহাজ কর্তৃপক্ষকে বাতিঘরের মাশুল পরিশোধ করতে হবে।’