সড়কে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্যই যানজট বেড়েছে : ডিএমপি কমিশনার
সড়কে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্যই যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে আজ সোমবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, নগরবাসীকে সচেতন করতে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমপি।
যানজট নিয়ে নগরবাসীর বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হলেও, নগরীতে যানজট কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। দিনের পর দিন যানজটের ভোগান্তি পোহাতে পোহাতে এই সমস্যায় নগরবাসী কিছুটা হলেও এখন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে এই ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
কেন হঠাৎ করেই নগরীতে এ অবস্থা তার জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহরে এমআরটির কাজ চলছে, বিআরটির কাজ চলছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে এবং কিছু ইউটিলিটি লাইনের কাটাকাটির জন্য এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে উন্নয়নমূলক কাজের কারণে অনেক জায়গায়ই কিন্তু অকুপাই হয়ে আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে, এই যানজট নিরসনে আমরা ইতিমধ্যে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছি।’
নগরবাসী মনে করে যানজট নিরসনে স্থায়ী সমাধান হবে যদিও সরকারের পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন হয়। আবার অনেকের প্রশ্ন নগরীতে এত ফ্লাইওভার থাকার পরও কেন এত যানজট।
যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপের পাশাপাশি ডিএমপি কমিশনার বলেন, সময় এসেছে যানবাহনের ব্যবহারে কিছুটা পরিবর্তন আনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, যানজটের চেয়ে আরো বড় সমস্যা হচ্ছে জনজট। এত লোকের ভার নিতে পারছে না ঢাকা শহর। আমি মনে করি যে একটি পরিবার কয়টি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে এবং দ্বিতীয় গাড়ি নিতে হলে বাড়তি ট্যাক্সের সিস্টেম করা দরকার। বিদেশে যেমন আছে একদিনে জোড় আর আরেকদিনে বেজোড় নাম্বারের গাড়ি চলে। সিটিতে বাইরের গাড়ি আসতে হলে সিটি ট্যাক্সের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমার মনে হয় সময় এসেছে আমাদেরও এই বিষয়গুলো ভাবার।
এদিকে ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের ব্যস্ততা বেড়েছে। রাজধানীর ১৫০টি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও যাত্রী না উঠাতে, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, বৈধ কাগজ, পথচারীদের রাস্তা পারাপারে সচেতনতা, আন্ডার পাস, ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তৎপর রয়েছে পুলিশ।