বিএনপিকেও বাটিচালান দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না : তোফায়েল
বিএনপি রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নির্বাচন বর্জনের ধারা অব্যাহত রাখলে বিএনপির অবস্থা ন্যাপের মতো হবে জানিয়ে তাঁরা বলেন, বিএনিপর অস্তিত্ব আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীতে মহিলা সমিতির আইভী রহমান মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগনেতারা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ধরাশায়ী বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে নির্বাচন এবং দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে।
তোফায়েল বলেন, বিএনপির অবস্থা হবে একদিন শ্রদ্ধেয় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মতো। সত্তরের নির্বাচন করে নাই, আজকে সেই পার্টিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ঠিক এমন দিন আসবে, বিএনপিকেও বাটিচালান দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, যে দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে কারাগারে এবং বিদেশে পলাতক থাকে তাদের রাজনৈতিক কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
হানিফ বলেন, যেই দলের প্রধান শীর্ষনেতা এবং নেত্রী আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে এবং বিদেশে পলাতক থাকে সেই দলের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে মুসলিম লীগের মতো হবে- এটাই স্বাভাবিক এবং সেই কারণেই বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা একে একে দলত্যাগ করছেন।
এদিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউটশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে আর ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ১৪ দলের এখনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মন্তব্য করেন শরিক দলগুলোর নেতারা।
১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমাদের অঙ্গীকার হবে কোনোদিনও যাতে এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘সারাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এই নব্য আওয়ামী লীগারদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
সাবেক শিল্পীমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে এবং সেইসাথে সোনার বাংলা গড়ার পথে এগিয়ে যাবে দেশ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ১৪ দলের অন্যান্য নেতা।